Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কৃষি খবর, চিতলমারী
বিস্তারিত
কালের কন্ঠ
আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:৫৬
চৌচির মাঠ, দেনার দায় নিয়েও নতুন চারা লাগাচ্ছেন চাষিরা
 
বর্ষণ পরবর্তী কড়া মেজাজী রোদের তাপে সবজি-লতা শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঠের পর মাঠ সবজি গাছগুলো শুকিয়ে যেন সোনা রঙ ধারণ করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায় দেনাগ্রস্থ হয়ে নতুনভাবে সবজি চারা লাগাচ্ছেন চাষিরা। তবু তারা ভয়ে আছেন। ভাদ্র মাসের শেষ দিন, ভাদ্র সংক্রান্তিতে (ছাতু ভেজানো গোন) আবারো জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সে সময় যদি বৃষ্টিও হয় তবে ক্ষতি আরো মারাত্মক হতে পারে বলে তারা জানান। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারে প্লাবিত হয়ে পানসহ গোটা কৃষি খাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, পানসহ সবজির গাছ-লতা বর্ষা পরবর্তী রোদের তাপে শুকিয়ে মরে গেছে। তবুও সবজি চাষিরা নতুনভাবে বাঁচার আশায় সবজি লাগাচ্ছেন। চিতলমারীর চরলাটিমা গ্রামের পান চাষি সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, বিশেষ পদ্ধতিতে তিনি বিষমুক্ত পান চাষ করেছিলেন। বাড়ির পেছনে ৩৮ শতক জমিতে সাথি জাতের পান চাষে তার খরচ হয় প্রায় এক লাখ টাকা। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে পানের বরজ তলিয়ে জলাবদ্ধ থাকে সপ্তাহ খানেক। এখন পানসহ পানের লতা শুকিয়ে যাচ্ছে। সকল চাষিদের একই অবস্থা বলে তিনি জানান। 

শ্যামপাড়া গ্রামের সবজি চাষী বিভাষ মন্ডল জানান, প্লাবিত হওয়ার আগে তিনি প্রায় দেড় একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে করলা, চিচিংগা, শসা, ঝিঙে লাগিয়েছিলেন। এজন্য তিনি দুইটি এনজিও হতে আনা ৫০ হাজার টাকার দেনা ছিলেন। সেই সবজি নষ্ট হওয়ায় এখন আরো ২০ হাজার টাকা দেনা হয়ে নতুনভাবে ঘেরপাড়ে করলা, উচ্চে, বরবটিসহ নানা সবজি চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এই উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছিল। এই পান, সবজি, ধানসহ ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফসল। কৃষিতে বাগেরহাট জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি ১৮ লাখ। অর্থাৎ, চিতলমারীর কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষীরা এখন নিজেদের উদ্যোগে নতুনভাবে সবজি চাষ শুরু করেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 
ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
24/08/2022
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2022