সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, পানসহ সবজির গাছ-লতা বর্ষা পরবর্তী রোদের তাপে শুকিয়ে মরে গেছে। তবুও সবজি চাষিরা নতুনভাবে বাঁচার আশায় সবজি লাগাচ্ছেন। চিতলমারীর চরলাটিমা গ্রামের পান চাষি সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, বিশেষ পদ্ধতিতে তিনি বিষমুক্ত পান চাষ করেছিলেন। বাড়ির পেছনে ৩৮ শতক জমিতে সাথি জাতের পান চাষে তার খরচ হয় প্রায় এক লাখ টাকা। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে পানের বরজ তলিয়ে জলাবদ্ধ থাকে সপ্তাহ খানেক। এখন পানসহ পানের লতা শুকিয়ে যাচ্ছে। সকল চাষিদের একই অবস্থা বলে তিনি জানান।
শ্যামপাড়া গ্রামের সবজি চাষী বিভাষ মন্ডল জানান, প্লাবিত হওয়ার আগে তিনি প্রায় দেড় একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে করলা, চিচিংগা, শসা, ঝিঙে লাগিয়েছিলেন। এজন্য তিনি দুইটি এনজিও হতে আনা ৫০ হাজার টাকার দেনা ছিলেন। সেই সবজি নষ্ট হওয়ায় এখন আরো ২০ হাজার টাকা দেনা হয়ে নতুনভাবে ঘেরপাড়ে করলা, উচ্চে, বরবটিসহ নানা সবজি চাষ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এই উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছিল। এই পান, সবজি, ধানসহ ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফসল। কৃষিতে বাগেরহাট জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি ১৮ লাখ। অর্থাৎ, চিতলমারীর কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষীরা এখন নিজেদের উদ্যোগে নতুনভাবে সবজি চাষ শুরু করেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস